করোনা পরিস্থিতির কারণে ভেঙ্গে পড়েছে সারাদেশের বেশিরভাগ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। স্বাভাবিক সময়ে যেসব হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা থাকতো, সেগুলো এখন অনেকটা রোগীশূন্য। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকা ও নানা ভোগান্তির কারণে সাধারণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই।
এদিকে মানিকগঞ্জে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ও দুনীর্তির সাথে যেই জড়িত থাক, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেল ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই করোনা আতঙ্কে হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকের উপস্থিতি কমে যায়। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বেশ কয়েকজন রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
এরপর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক করতে সরকারের নানা তৎপরতার পরও দীর্ঘ ৫ মাসেও পাল্টায়নি সে চিত্র।
অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালসহ বিভ্ন্নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে রোগীর সংখ্যা কমেছে অনেক। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসা দেয়ার দেয়ার জন্য কোনো চিকিৎসক নেই। দেখ ভাল করেন নার্সরাই।
যশোরে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পাওযার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে , করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তারা ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
একই চিত্র সিরাজগঞ্জেও। চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নষ্ট ও নার্সদের অসহযোগিতার কারণে সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে ৫শ’ থেকে ৬ শ রোগী ভর্তি থাকলেও বর্তমানে রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে।